
সেন্ট্রাল শরীয়াহ কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট
ইসলামের ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, মহানবী (সাঃ) এর আগমণের পূর্বেও সাধারণ বীমার অনুরূপ বীমার কার্যক্রম প্রচলিত ছিল এবং ১৯ শতকের সূচনাকাল পর্যন্ত এর ক্রমবিকাশের ধারা অব্যহত থাকে। এ সময় ইবনে আবেদীন (১৭৮৪-১৮৩৬) নামক একজন হানাফী ফিক্ বিশেষজ্ঞ সর্বপ্রথম ইসলামী বীমার পরিভাষা গ্রহণ করেন। তিনি এ বিষয় মনোজ্ঞ ব্যাখ্যা এবং সুস্পষ্ট ধারণা পেশ করেন। তাঁর ব্যাখ্যা- বিশ্লেষণের পর অসংখ্য বিজ্ঞ আলেম বীমা সম্পর্কে তাঁদের বিরূপ ধারণা ত্যাগ করে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করতে থাকেন। বিশ শতকের প্রারম্ভে ইসলামী আইনবিদ মোহাম্মদ আবদুহ ১৯০০ ১৯০১ সাল নাগাদ বীমা ব্যবস্থার ইসলামী রূপরেখা প্রদান করেন এবং বীমাকে সম্পূর্ণ আইন সিদ্ধ বলে ঘোষণা দেন। তিনি জীবন বীমাকেও ইসলামী আইন কানুন অনুসরণ সাপেক্ষে বৈধ বলে ঘোষণা করেন। বিশ শতকে বহু মুসলিম ও অমুসলিম দেশে ইসলামী বীমার সম্প্রসারন ঘটে। ১৯৭৯ সালে সুদানে প্রথম ইসলামী বীমা কোম্পানী প্রতিষ্ঠা লাভের পর এ পর্যন্ত পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই স্বার্থকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
নির্দেশিকাটি পড়তে ক্লিক করুন
এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৯ সাল থেকে বাংলাদেশে ইসলামী বীমার কার্যক্রম শুরু করা হয়। প্রত্যেকটি ইসলামী বীমা কোম্পানী ও ইসলামী বীমা উইং এর ১টি করে শরীয়াহ্ কাউন্সিল রয়েছে। উক্ত শরীয়াহ কাউন্সিলের কার্যক্রম একই নীতিমালার আলোকে পরিচালনার জন্য এবং ইসলামী বীমার উন্নয়নে ১টি কেন্দ্রীয় শরীয়াহ কাউন্সিল গঠন অতীব প্রয়োজন বলে ইসলামী বীমা কোম্পানীগুলো অনুভব করে।
উপরোক্ত প্রেক্ষাপটে ২০ জুন' ২০০২ তারিখে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের তৎকালীন খতীব আল্লামা উবায়দুল হক (রহঃ) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইসলামী বীমা কোম্পানীসমূহের শরীয়াহ্ কাউন্সিল/বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিব এবং কোম্পানীর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের যৌথ সভায় বাংলাদেশের ইসলামী বীমা কোম্পানীসমূহের জন্য কেন্দ্রীয় শরীয়াহ্ কাউন্সিল হিসেবে "সেন্ট্রাল শরীয়াহ্ কাউন্সিল ফর ইসলামিক ইনসিওরেন্স অব বাংলাদেশ" প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। ১৩ অক্টোবর' ২০০২ তারিখে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের তৎকালীন খতীব আল্লামা উবায়দুল হক (রহঃ) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইসলামী বীমা কোম্পানীসমূহের শরীয়াহ্ কাউন্সিল/বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিব এবং ইসলামী বীমা কোম্পানীর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের দ্বিতীয় যৌথ সভায় "সেন্ট্রাল শরীয়াহ্ কাউন্সিল ফর ইসলামিক ইনসিওরেন্স অব বাংলাদেশ" গঠন করা হয়। উক্ত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের তৎকালীন খতীব আল্লামা উবায়দুল হক (রহঃ) কে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ সাইয়্যেদ কামালুদ্দীন জাফরীকে সেক্রেটারী জেনারেল (বর্তমান চেয়ারম্যান) ও অধ্যাপক মাওঃ এবিএম মাছুম বিল্লাহকে সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল (বর্তমান সেক্রেটারী জেনারেল) করে সেন্ট্রাল শরীয়াহ্ কাউন্সিল ফর ইসলামিক ইনসিওরেন্স অব বাংলাদেশ এর প্রথম কমিটি গঠন করা হয়। কাউন্সিল কর্তৃক দাখিলকৃত সংঘ স্মারক ও গঠনতন্ত্রের আলোকে রেজিষ্ট্রার অব জয়েন্ট ষ্টক কোম্পানীজ এন্ড ফার্মস কর্তৃক ৪ মার্চ' ২০০৯ তারিখে কাউন্সিলকে সরকারী নিবন্ধন দেওয়া হয়। যার নিবন্ধন নম্বর (এস) ৮৯৬৯।

২০১২ সালে বাংলাদেশ ইনসিওরেন্স এসোসিয়েশন এর তাকাফুল সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জনাব এম শেফাক আহমেদ। পাশে উপবিষ্ট এসোসিয়েশন এর চেয়ারম্যান জনাব শেখ কবির হোসেন

২২ জুন ২০২২বীমা উন্নয়ন ও নিরগুণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ জরদুল করী মহোদরকে ইসলামী নীমা সম্পর্কে অবহিত করছেন সেন্ট্রল শরীয়াহ কাউন্সিল কর ইসলামিক ইনসিওরেন্স অব বাংলাদেশ এর সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক শারেখ এবিএম মাহুম বিল্লাহ

২০১২ সালে কাউন্সিলের বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ পত্র প্রদান করছেন চেয়ারময়ন অধ্যক্ষ সাইয়েদ কামাল উদ্দিন জাফরী
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সালে কাউন্সিলের জাতীয় বীমা নীতি ২০১৪-এর আলোকে "ইসলামী বীমার সম্ভাবনা" শীর্ষক একটি কর্মশালায়া প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সাইয়েদ কামাল উদ্দিন জাফরী
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিচ্ছেন সেন্ট্রাল শরীয়াহ্ কাউন্সিলএর চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সাইয়্যেদ কামালুদ্দীন জাফরী
৩ দিনব্যাপী বুনিয়াদী প্রশিক্ষন কোর্সের প্রধান প্রশিক্ষক বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম এর ভাইসপ্রেসিডেন্ট ও ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোং লিঃ এর মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃহেমায়েত উল্যাহ কে ক্রেস্ট প্রদান করছেন কাউন্সিলের সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাওঃএবিএম মাছুম বিল্লাহ
Clients














